দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অক্ষশক্তির সামরিক যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত এনিগমা (Enigma) কোড ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। অনেক চেষ্টার পর, ১৯৪০ সালে অ্যালান টুরিং (Alan Turing) এবং তার দল প্রথমবারের মতো এনিগমা কোড ভাঙতে সক্ষম একটি প্রোটোটাইপ মেশিন তৈরি করেন।
তারা এই প্রোটোটাইপের মাধ্যমে প্রথম যে বার্তাটি ডিকোড করেন, তাতে জানতে পারেন যে জার্মান বাহিনী রাতের বেলা ৫০০ যাত্রী বহনকারী একটি যাত্রীবাহী ক্রুজশিপে হামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এক্ষেত্রে টুরিংয়ের সামনে একটি গভীর নৈতিক Dilemma তৈরি হয়। টুরিং চাইলে এই তথ্য ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীকে জানিয়ে ৫০০ যাত্রীর জীবন বাঁচাতে পারতেন। কিন্তু এর ফলে জার্মান বাহিনী জেনে যেত যে ব্রিটিশরা তাদের এনিগমা কোড ভেঙে ফেলেছে। তখন তারা তাদের যোগাযোগ পদ্ধতি পরিবর্তন করে ফেলত, যার ফলে ভবিষ্যতে আর কোনো বার্তা ডিকোড করা সম্ভব হতো না।
অপরদিকে টুরিং যদি ৫০০ যাত্রীকে উৎসর্গ করেন, তবে এনিগমা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের গোপনীয়তা বজায় থাকবে। এই তথ্যের ব্যবহার ভবিষ্যতে মিত্রবাহিনীকে যুদ্ধ জয়ে নিশ্চিতভাবে সাহায্য করতে পারত, যা সম্ভবত আরও বড় পরিসরে জীবন বাঁচাতে পারত এবং যুদ্ধের গতিপথ পরিবর্তন করতে পারত।