জার্মানির পদ্ধতি:
জার্মানি তার ফ্যাসিস্ট অতীত, বিশেষ করে নাজি যুগ, মোকাবিলায় একটি বিস্তৃত পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। দেশটি স্মৃতির একটি শক্তিশালী সংস্কৃতি তৈরি করেছে, যেখানে বার্লিনের হলোকাস্ট স্মৃতিস্তম্ভ এই প্রতিশ্রুতির মূল প্রতীক। নাজি যুগ সম্পর্কে বিস্তৃত শিক্ষা বিদ্যালয়ে পাঠদান করা হয় এবং ঘৃণা বক্তব্য ও নব্য-নাজি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। জার্মানিতে জনসাধারণের আলোচনা প্রায়ই অতীতের সাথে সম্পর্কিত থাকে, যা নিশ্চিত করে যে নাজি শাসনামলে ঘটে যাওয়া নৃশংসতাগুলি ব্যাপকভাবে স্বীকৃত হয়। এই সম্মুখীন হওয়ার প্রক্রিয়াটি যুদ্ধোত্তর জার্মানির পরিচয় এবং জাতিগত স্মৃতিতে গভীরভাবে একত্রিত হয়েছে। এছাড়া, নাজি অপরাধীদের বিচারের জন্য নুরেমবের্গ ট্রায়াল এবং পরবর্তী সময়ে আরও আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
স্পেনের পদ্ধতি:
তুলনামূলকভাবে, স্পেনের গণতন্ত্রে উত্তরণ ১৯৭৫ সালে ফ্রান্সিসকো ফ্রাঙ্কোর মৃত্যুর পর আনুষ্ঠানিকভাবে অতীতের সঙ্গে কোনো মূল্যায়ন ছাড়াই ঘটে। এর একটি কারণ ছিল ১৯৭৭ সালের 'প্যাক্ট অব ফরগেটিং', যা ফ্রাঙ্কো শাসনের বিষয়গুলি থেকে দূরে সরে গিয়ে সমাজের মধ্যে বিভক্তি এড়ানোর চেষ্টা করেছিল। এর ফলে, পরবর্তী বছরগুলোতে ফ্রাঙ্কো শাসনের অধীনে ঘটে যাওয়া নৃশংসতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে একটি নিরবতা সৃষ্টি হয়। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কিছু অগ্রগতি হয়েছে, যেমন ২০০৭ সালের ঐতিহাসিক স্মৃতি আইন, যা অতীতকে স্বীকৃতি দেয়, তবে এই পদ্ধতি তুলনামূলকভাবে কম তীব্র এবং শুরুর দিকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং জাতীয় পুনর্মিলনির ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছিল। স্পেনে ফ্রাঙ্কো শাসনের অপরাধের জন্য কোনো আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি, তবে কিছু প্রতিবাদ এবং স্বীকৃতির প্রচেষ্টা দেখা গেছে।