মিতলাউফার বা Fellow traveller হইল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সাথে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নাৎসী জার্মানিতে অনেক বুদ্ধিজীবী ছিলেন যারা স্ব স্ব ক্ষেত্রে ছিলেন বিখ্যাত ও উজ্জ্বল নক্ষত্র। কিন্ত এনারা ছিলেন নাৎসী পার্টির ইনডাইরেক্ট বা প্যাসিভ সমর্থক। নাৎসীদের ক্যারিশমাটিক দেশপ্রেম ও লিডারশীপ তাদেরকে করেছে মুগ্ধ। কিন্তু এনারা একদম চুপ ছিলেন নাৎসী অত্যাচার নিয়ে, নাৎসী সরকারের নানা বাজে পলিসি নিয়ে ( যেমন নুরেম্বার্গ আইন)। অনেকে একটা প্রতিবাদও করেনি। কেউ কেউ বলেছিলেন তারা ভাবতেই পারেন নাই জার্মান মুক্তির চেতনায় বিশ্বাসী নাৎসীরা এত খারাপ! তবে এরা নিজেরা কোনো অপরাধ করেন নাই ডাইরেক্টলি। এমন ছিলেন পৃথিবী বিখ্যাত জার্মান ফিল্মমেকার লেনি রাইফেনস্টাহল, দার্শনিক মারটিন হাইডিগার, বিখ্যাত চিত্রশিল্পী ক্রিশ্চিয়ান স্নাদ। এরা সবাই Fellow Travellers! হিটলারের একনায়কতন্ত্র এর পতনের পর Fellow Travellers Law তে এদের বিচার হয় যেমন - চাকরি থেকে বহিষ্কার, আর কোনো ক্রিয়েটিভ কাজ করতে না দেয়া, বিশাল জরিমানা, বিদেশ যেতে না দেয়া, স্বল্পকালীন জেল ইত্যাদি।
হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশেও এমন বুদ্ধিজীবী চিহ্নিত হয়েছেন - যেমন উপমহাদেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, বিখ্যাত অভিনেতা হাসান ইমাম, বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ কাজী খলিকুজ্জামান, সাবেক পুলিশ প্রধান নূর মোহাম্মদ, সুবর্ণা মোস্তাফা, সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী।
এদের মতো সবাই বাংলাদেশের মিতলাউফার।